ষষ্ঠ অধ্যায় - পারমিশন
পারমিশন
আমরা যদি লিস্ট করতে বসি এমন ১০টা কারনের যার জন্য উইন্ডোজ থেকে আসা নতুন লিনাক্স ইউজার ঘাবড়ে যান তার মধ্যে পারমিশন একটা হবেই। একজন শিক্ষানবীশ ওয়েবডেভেলপার যে wampp এ কাজ করে অভ্যস্ত সে হঠাৎই দেখতে পায় পারমিশনের কারনে তার সার্ভার ঠিকমত কাজ করছে না। বা সিস্টেমের কোনো ম্যানিপুলেশনমাত্রই সুপারইউজার এ্যাবিলিটি দরকার হয়। উইন্ডোজেও এডমিনিস্ট্রেটিভ প্রিভিলেজ চায় অবশ্য কিন্তু next এবং ok চাপার অভ্যেসবশত আমরা ok চাপতে কসুর করি না।
লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো ইউনিক্সসদৃশ অপারেটিং সিস্টেম(আপনি হয়ত জেনে থাকবেন, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম না বরং একটি কার্নেল। কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তবুও পুরো অপারেটিং সিস্টেম না। লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে তৈরি করা অপারেটিং সিস্টেমকে লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন বলে।) এবং স্বাভাবিকভাবেই ইউনিক্সের মত অনেক কাজ একসাথে করার(Multitasking) ও অনেক ইউজারকে একসাথে কাজ করার(Multiuser) সুযোগ দেয়।
তাই স্বাভাবিকভাবেই একটা কম্পিউটারের একাধিক ইউজার থাকতে পারে। তাদের প্রাইভেসির দরকার হয়। যেন তারা অন্যের ফাইলপত্রে অনিধকার অনুপ্রবেশ না করতে পারে এবং তাদের তথ্যও সুরক্ষিত থাকে। এর জন্য দরকার ফাইল পারমিশন। আবার একটা সিস্টেমে হাজার হাজার ইউজার থাকতে পারে। আমরা নিশ্চয়ই তখন চাইবো না কেউ সিস্টেমের কোনো অংশ বদলে তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করুক। তাই ব্যবহারকারীদের মধ্যেও সাধারণ ও সুপারইউজার শ্রেনী আছে।
ওনার, গ্রুপ এবং অন্যান্য: ফাইল ওনার সম্পর্কিত ধারনা।
এক্সেস রাইট: ফাইল এক্সেস রাইট সম্পর্কিত ধারনা।
ফাইল পারমিশন পরিবর্তন: chmod এর ব্যবহার করে ফাইল পারমিশন পরিবর্তন।
ফাইল পারমিশন মাস্কিং: umask এর ব্যবহার করে মাস্কিং।
বিশেষ পারমিশন: বিশেষ পারমিশনসমূহের ধারণা।
ওনার ইউজার ও গ্রুপ পরিবর্তন: chown ও chgrp এর ব্যবহার।
পরিচয় পরিবর্তন: su এবং sudo এর ব্যবহার।
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন: passwd কমান্ড এর ব্যবহার।
Last updated